আম্বানিদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে লিও মেসি মঙ্গলবার যাচ্ছেন জামনগরে অনন্তর বনতারা চিড়িয়াখানায়। মেসিদের বনতারা ওয়াইল্ডলাইফ ঘুরে দেখার জন্য জামনগরে আমন্ত্রণ করেন মকেশ আম্বানি। শোনা যাচ্ছে, মেসিকে মোটা অঙ্কের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী।
গোট ট্যুরে কলকাতায় এসে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়তে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। তবে ঠিক তার পরেই দেখা গিয়েছে হায়দরাবাদ, মুম্বই আর দিল্লির ছবি। সেখানে দারুণভাবেই আয়োজিত হয় ইভেন্ট। আর সেই ইভেন্টের শেষ দিনে মেসি জানিয়ে দিলেন, তিনি ফের কলকাতায় আসতে চান।
লন্ডভন্ড যুবভারতী। মুখ পুড়েছে কলকাতার। মেসিকে দেখতে এসে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ জনতা। ভেঙে ফেলা হয়েছে বাকেট সিট, ভাঙা হয়েছে খেলোয়াড়দের মাঠে বেরিয়ে আসার টানেল। নষ্ট করা হয়েছে গোল পোস্টের জাল। শুধু তাই নয়, মাঠের বাইরে থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে গাছের টব। এই ধ্বংসলীলার পর কেমন অবস্থা যুবভারতীর?
মেসিকে ঘিরে রাখলেন কারা? সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে আরও বেড়েছে ক্ষোভ। কেন সাধারণ মানুষ হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও মেসির নাগাল পেলেন না এবং বদলে ছবি তুলতে পারবেন কেবলমাত্র VVIP-দের পরিবারের সদস্যরা? উঠছে প্রশ্ন।
রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্ব যে লিওনেল মেসিকে দেখল, তিনি প্রাণবন্ত, উচ্ছ্বসিত। মাঠে বল নিয়ে কসরত দেখালেন, ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুললেন, সচিন তেন্ডুলকার তাঁর বিশ্বকাপজীয় ১০ নম্বর জার্সি তুলে দিলেন মেসির হাতে। মেসি আলাপ করলেন ভারতের ফুটবল আইকন সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে। প্রতিটি মুহূর্ত যেন বাঁধিয়ে রাখার মতো।
কলকাতা পারেনি। করে দেখাল মুম্বই ও হায়দারবাদ। রবিবার সন্ধেয় ৬১ মিনিট ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কাটালেন লিয়োনেল মেসি। তাঁকে নিজের ১০ নম্বর জার্সি উপহার দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। পুরো ভিডিও দেখুন।
সল্টলেক স্টেডিয়ামে কয়েক মিনিট ছিলেন মেসি। তাঁর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই মিনিট দশের মধ্যেই নেতা-মন্ত্রী-তারকাদ্বারা পরিবৃত ছিলেন এলএম টেন। ফলে তাঁকে দেখতেই পাননি গ্যালারিতে বসে থাকা প্রায় ৭০ হাজার দর্শক।
'ক্ষয়িঞ্চু জনপ্রিয়তা। ফুটো জাহাজ। এপ্রিল মাসে সখাত সলিলে যাবে। তার আগে কার্বাইড দিয়ে কাঁঠাল ও আমা পাকানোর মতো মেসিকে দিয়ে খেলা হবে বলাতে চেয়েছিলেন'। বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজু দা কি দেখা করতে পারলেন লিওনেল মেসির সঙ্গে? হাজার হাজার টাকা খরচ করেও যা থেকে বঞ্চিত থাকতে হল সাধারণ দর্শকদের। এরপরে শুরু হয় তান্ডব। সাধারণ মানুষ যখন আর্জেন্টাইন তারকাকে এক ঝলক দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তখনই প্রায় ২০ মিনিটেরও বেশি সময় মেসির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে দাবি রাজুর।
লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে তাণ্ডব। রবিবারও গোটা মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাকেট সিট। লণ্ডভণ্ড গোটা স্টেডিয়াম। এর জেরে মাথা হেঁট হয়েছে কলকাতাবাসীর। তার থেকেও বড় সমস্যা হল, ভবিষ্যতে কোনও ম্যাচ পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে কলকাতার এই আইকনিক স্টেডিয়ামকে। এমনটাই মত কল্যাণ চৌবের। বিজেপি নেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিও।
'শতদ্রুর আগে অরূপ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে গাড়ি ঘুরিয়ে পালাতে হয়েছে। ভোটের আগে লোক দেখাতে শতদ্রু দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবিলম্বে টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে'। বললেন শুভেন্দু অধিকারী।