ফের বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ISKCON) এর উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি। এটি একটি 'চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন' বলে অভিযোগ করছে ইসলামপন্থীরা।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বিপজ্জনক জোট গড়ছে? একদিকে পাকিস্তান, অন্যদিকে বাংলাদেশ, দুই 'জঙ্গি দেশ' যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাতে উদ্বেগের বিষয় ভারতের কাছে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার মাথা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠকে দেখা গেল বাংলাদেশে।
ইউনূস আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে একেবারে যেন গলায় গলায় বন্ধুত্ব বাংলাদেশের। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের সুপ্ত সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা-করাচি বিমান রুট চালু হতে চলেছে। এরমধ্যেই সামনে এল নতুন খবর। বাংলাদেশ করাচি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান।
ইবতিসম ইলাহি জাহির পাকিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জঙ্গি তালিকাতেও উজ্জ্বল নাম। পাক জঙ্গি সংগঠন মারকাজি জমিয়ত আহল ই হাদিতের জেনারেল সেক্রেটারি। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছেছে। এরপর তাকে দেখা গেল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাংলাদেশি জেলাগুলিতে ঘুরছে, বক্তৃতা দিচ্ছে ও স্থানীয় কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির সঙ্গে নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে।
প্রতিবেশী বাংলাদেশ বর্তমানে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। রিপোর্ট অনুসারে, দেশের ব্যাঙ্কগুলি কর্তৃক বিতরণ করা বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে না, যার ফলে ব্যাঙ্কগুলি উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিও ধসের কিনারায়। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে গেছে।
বাংলাদেশে বাড়ছে ধর্মীয় উগ্রবাদ। সাধারণ নির্বাচনের আগে ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়কে 'অমুসলিম' ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। সেজন্য ১৫ নভেম্বর ঢাকায় মিছিল করার কথা ইসলামি ধর্মগুরুদের।
আবার বেয়াদপি বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের। এ বার তিনি আসাম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একটা বিস্তির্ণ অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসাবে দেখালেন। সেই ম্যাপ তুলে দিলেন পাকিস্তানের জেনারেলের হাতে। আর এই ঘটনা ঘিরেই আবার নতুন করে শুরু হয়ে গেল দিল্লি-ঢাকা চাপানউতোর।
ফের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। এ বার ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে ভারত থেকে পলাতক (ওয়ান্টেড) ও ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের জন্য বিরাট আয়োজন করা হচ্ছে। তার জন্য রেড কার্পেট বিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার বলেই খবর।
সমগ্র আন্দোলনটির সফলতার একক কৃতিত্বের দাবিদার হিসেবে তারা এ কথাগুলি প্রকাশ করেছিলেন। একক দাবিদার এজন্য দরকার ছিল, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের সকল স্তরের প্রায় সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন ও তার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন, এর জন্য তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।
বাংলাদেশে NCP-র তৈরি হয়েছিল অ্যান্টি হাসিনা আন্দোলনের মাধ্যমে। এই পার্টিকে সামনে রেখেই মহম্মদ ইউনূসের ছক ছিল, ক্ষমতায় টিকে থাকবেন। ভেবেছিলেন, এনসিপি জনপ্রিয়তায় আওয়ামী লিগ, বিএনপি-র মতো দলগুলিকে ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু আখেরে দেখা যাচ্ছে, এই ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দলের উপরে আদপেই ভরসা নেই বাংলাদেশের জনগণের।
আন্তর্জাতিক অপরাধদমন ট্রাইব্যুনালে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়দান হবে শেখ হাসিনার। তাঁর নিয়তিতে কী রয়েছে, ফাঁসি না কারাবাস? সেই নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার বিবৃতি দিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী।