আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভিডিওটির সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি অন্তত ২০১৫ সাল থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে এবং এটি খুব সম্ভবত ইয়েমেনের।
তবে আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভিডিওটি প্রায় ৫ বছর পুরনো। সেই সময় শুভেন্দু বিজেপিতে নয়, বরং তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে, ভাইরাল ভিডিওটি ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। আসল ভিডিওটি ২০২১ সালের এবং এই সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান প্রসঙ্গে কোনও কথা তিনি বললেননি।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওতে প্রকাশ্যে গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগে ভোপাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার গ্যাংস্টার জুবায়ের মৌলানা ও তার তিন সহযোগীকে দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং সেটি নেপালে পুনরায় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাজধানী কাঠমান্ডুর তিনকুনে এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভের দৃশ্য।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, প্রথম ভিডিওটি ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুতে দুটি সূর্য কিরণ যুদ্ধ বিমান ভেঙে পড়ার কারণে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পাইলটের আহত হওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় ভিডিওতে ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চেন্নাইতে একটি বস্তি ভেঙে পড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে দাবিগুলির পুরোপুরি মিথ্যে, সেই সঙ্গে ছবিগুলির সঙ্গেও ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কোনও সম্পর্ক নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে একাধিক অন্য ধরনের ভিডিও, যেখানে নানা এলায় আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিওগুলি ছড়িয়ে বাংলাদেশ-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও প্রোফাইলগুলি থেকে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে পাকিস্তানের মিসাইল হানার দৃশ্য।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই মহিলা পাইলট সোফিয়া কুরেশি নন বরং মার্কিন বায়ুসেনার এক পাইলট। সোফিয়া বায়ুসেনার অংশ নন, তিনি স্থলসেনাবাহিনী কর্নেল পদে রয়েছেন।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, প্রথম এবং দ্বিতীয় ছবি দুটি যথাক্রমে ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল ও ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর গাজায় ইজরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা। অন্যদিকে ভাইরাল ভিডিওটিতে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের শুরুতে ইজরায়েলের মাটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য দেখা গেছে।
ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেকের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে দেখা হয়েছে যে এই সকল পোস্টের ছবিগুলি পুরনো এবং বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে অসম্পর্কিত। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমে ভুয়ো তথ্য প্রচার হওয়ার পর সেই ফাঁদে পড়ে একই ছবি প্রচার করেছে বাংলাদেশী মিডিয়া।
আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ছবি এবং প্রথম ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ক্লিপটি একটি ভিডিও গেম থেকে নেওয়া হয়েছে। এগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের যুদ্ধ বিমান ধ্বংসের কোনও সম্পর্ক নেই।