Black Flag to Siddiqullah Chowdhury: এবার সিদ্দিকুল্লাকে কালো পতাকা দেখালেন TMC কর্মীরাই, মন্তেশ্বরে বারবার ক্ষোভের মুখে মন্ত্রী

নিজের বিধানসভা এলাকাতেই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এবার মন্তেশ্বরের বিধায়ককে নিজের এলাকায় দেখতে হলো কালো পতাকা ও ঝাঁটা। বৃহস্পতিবার সকালে সভাস্থল দেখতে যাচ্ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মালডাঙা ও মন্তেশ্বর বাজারের মাঝামাঝি জায়গায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ কালো পতাকা নিয়ে হাজির হন। স্লোগান ওঠে, ‘সিদ্দিকুল্লা মন্তেশ্বরে তোমাকে চাই না।’

Advertisement
এবার সিদ্দিকুল্লাকে কালো পতাকা দেখালেন TMC কর্মীরাই, মন্তেশ্বরে বারবার ক্ষোভের মুখে মন্ত্রীসিদ্দিকুল্লা চৌধুরী

নিজের বিধানসভা এলাকাতেই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এবার মন্তেশ্বরের বিধায়ককে নিজের এলাকায় দেখতে হলো  কালো পতাকা ও ঝাঁটা। বৃহস্পতিবার সকালে সভাস্থল দেখতে যাচ্ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মালডাঙা ও মন্তেশ্বর বাজারের মাঝামাঝি জায়গায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ কালো পতাকা নিয়ে হাজির হন। স্লোগান ওঠে, ‘সিদ্দিকুল্লা মন্তেশ্বরে তোমাকে চাই না।’ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। 

 মন্তেশ্বর ঢুকতেই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে দেখানে হয় কালো পতাকা। ওঠে গোব্যাক স্লোগানও। মন্ত্রীকে তাঁর দলেরই লোকজন বলেন, 'ধান্দাবাজ-চিটিংবাজ-তোলাবাজ।' এদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক মহিলা সভানেত্রীদেরও দেখা যায় পতাকা হাতে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, উনি পরিযায়ী বিধায়ক। এলাকার মানুষ তাঁর কাছ থেকে কোনও পরিষেবা পান না।

 দলীয় কর্মীদের একাংশের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদিকুল্লা চৌধুরী। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে  তিনি জানাবেন। মন্ত্রীর দাবি, পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক। ব্লক জুড়ে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ তোলাবাজি চালাচ্ছে, তা বন্ধ করতে উদ্যোগী হওয়ায় এ সব করা হচ্ছে।

এদিকে মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রফিকুল ইসলাম শেখের বক্তব্য, 'আমাদের এখানে তোলাবাজ-ধান্দাবাজ-চিটিংবাজ মন্ত্রী আছেন। উনি তোলা ছাড়া কিছুই বোঝেন না। চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছর হল, আমরা ভেবেছি একজন মন্ত্রী পেয়েছি। মন্তেশ্বরবাসীর সুরাহা হবে। সবার চাল-গমের প্রয়োজন হয় না। কিছু মানুষের সার্টিফিকেটেরও দরকার পড়ে। কিন্তু তা থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। আজ উনি কিছু তোলাবাজকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন পরিযায়ী শ্রমিকের মতো এখানে। চার বছর পর এখানে দালালি করতে এসেছে। আমরা দলীয়ভাবেও ওঁকে পাশে পাইনি, সাধারণ মানুষ হয়েও সাহায্য পাইনি।' প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন হল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মন্তেশ্বরে দলেরই একাংশ। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে সিদ্দিকুল্লাকে না চাওয়ার স্লোগান তুলে রাস্তাতেও নেমেছেন কর্মীরা।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement