Krishnendu Choudhury Wife: দলের অফিসে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে 'মারধর', অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু-জায়া TMC কাউন্সিলর কাকলি

Krishnendu Choudhury Wife: অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের ধারে রাস্তায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল সংবিদ। সেই সময় কয়েকজন এসে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূলের ওয়ার্ড কার্যালয়ে। সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে তাঁর বাবা পুলিশ-সহ গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করেন।

Advertisement
দলের অফিসে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে 'মারধর', অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু-জায়া TMC কাউন্সিলর কাকলিদলের অফিসে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে 'মারধর', অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু-জায়া TMC কাউন্সিলর কাকলি

Krishnendu Choudhury Wife: ইংরেজবাজার পুরসভা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। প্রহৃত ছাত্র সংবিদ গোস্বামী কলকাতার এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য কাজল গোস্বামীর ছেলে। সংবিদের পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তৃণমূল কাউন্সিলার তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর স্ত্রী কাকলি চৌধুরীর অনুগামীরা এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইংরেজবাজার থানায় ইতিমধ্যেই কাউন্সিলার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রামকৃষ্ণ মিশনের ধারে রাস্তায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিল সংবিদ। সেই সময় কয়েকজন এসে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূলের ওয়ার্ড কার্যালয়ে। সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে খবর পেয়ে তাঁর বাবা পুলিশ-সহ গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করেন।

সংবিদের বাবা কাজল গোস্বামীর দাবি, “আগামীকাল গাজোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আসছেন। আমি সেই কর্মসূচি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। তারপরই ছেলেকে নিশানা করা হয়েছে। এটা নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” তবে কাউন্সিলার কাকলি চৌধুরীর দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর কথায়, “রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওই ছেলেরা মাদক সেবন করছিল। কাছেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্থানীয়রা আপত্তি জানাতেই বচসা হয়। পরে সংবিদ ও তাঁর বন্ধুরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে ঝামেলা বাঁধায়। স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারধর করে।”

ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “যে জায়গাটিকে পার্টি অফিস বলা হচ্ছে, সেটা আসলে আমাদের ওয়ার্ড অফিস নয়। পুলিশে অভিযোগ হয়েছে, তদন্ত হোক। সত্যিটা প্রকাশ পাক।” অন্যদিকে, স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সংবিদ ও তাঁর বন্ধুরা ওই এলাকায় প্রায়ই মাদক সেবন করে। তাঁদের বারবার সতর্ক করা হলেও কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement