মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে হারালোঠিক একটা সপ্তহ আগেও বেশ নড়বড়ে অবস্থানে ছিল মোহনবাগান। আইএফএ শিল্ডে দল পরের পর ম্যাচ জিতলেও মাঠের বাইরে কিছুটা মেঘাচ্ছন্নই ছিল সবুজ-মেরুনের সূর্য। তবে শনিবাসরীয় শিল্ড ফাইনালে ডার্বি জিতে ট্রফি ঘরে তুলতেই ফের ঝকঝকে মোহনবাগান। সেই আবহেই শনিবার সুপার কাপে অভিযান শুরু করতে চলেছে কোচ জোস মোলিনার দল, চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে।
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পর্যয়ের প্রতিযোগিতার মধ্যে একমাত্র সুপার কাপ জিততে পারেনি মোহনবাগান। আইএসএল শিল্ড, আইএসএল কাপ, ডুরান্ড কাপের পর আইএফএ শিল্ড জিতেছে তারা। তাই এবার অধরা ট্রফি হাতে তুলতে বাড়তি তৎপর দল। কোচ মোলিনাও বলে দিয়েছেন, "সুপার কাপ অধরা, সেই তকমাটা এবার মুছে দিতে চাই।" মরশুমের শুরুর দিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী শিল্ড ফাইনালেও যে বিশেষ মন ভরানো ফুটবল খেলেছেন জেমি ম্যাকলারেন-লিস্টন কোলাসোরা, বলার উপায় নেই। প্রশ্ন উঠেছে মোলিনার ভূমিকা নিয়েও। মোহনবাগান হেডস্যর অবশ্য দাবি করছেন, ক্রমেই উন্নতি করছে দল। "আমরা প্রতিদিনই উন্নতি করছি। মরশুমের শুরুতে যেখানে ছিলাম, বিশেষত ডুরান্ড কাপে, সেখান থেকে এখন আমাদের অবস্থা ভালো। যত ম্যাচ খেলব, তত উন্নতি হবে। দল যে অবস্থায় আছে, তাতে সুপার কাপে ভালো ফল করা নিয়ে আমি আশাবাদী। শুক্রবার ঘণ্টাখানেকের অনুশীলনে মূলত শুটিং প্র্যাকটিসে জোর দিয়েছিলেন মোলিনা। শেষ সাক্ষাতে চেন্নাইয়িন এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল মোহনবাগান।
তবে দক্ষিণের ক্লাবটি সুপার কাপে এসেছে সম্পূর্ণ ভারতীয় স্কোয়াড নিয়ে। বৃহস্পতিবার সুপার কাপ খেলতে গিয়েছেন শুভাশিস বসুরা। সেখানে গোয়াতেই প্রাক্-মরশুম অনুশীলন করেছে চেন্নাইয়িন। ফলে আবহাওয়া নিয়ে ভালোই ওয়াকিবহাল প্রীতম কোটাল-ফারুখ চৌধুরিরা। তাছাড়া সবুজ-মেরুনের প্রাক্তন সহকারী কোচ হওয়ায় মনবীর সিংদের ভালোই চেনেন চেন্নাইয়িন কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। যদিও তা নিয়ে বিশেষ ভাবনা নেই মোলিনার। তাঁর বার্তা, "ক্লিফোর্ডের পূর্ব অভিজ্ঞতা চেন্নাইয়িনকে বাড়তি সুবিধা দেবে কি না জানি না। তবে ম্যাচ দেখলেই বোঝা যাবে কারা সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের দলের সবাই তৈরি। কোনও চোট সমস্যা নেই।" রক্ষণে দুই বিদেশিকে রেখেই দল সাজাচ্ছেন মোলিনা। আক্রমণে চার বিদেশির একসঙ্গে নামার সম্ভবনা কম। চেন্নাইয়িনের প্রাত্তন ফুটবলার অনিরুধ থাপা এখন মোহনবাগানের। তবে পুরনো দলের বিরুদ্ধে পুরো পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোনও ভাবনা নেই তাঁর। বিদেশি না থাকলেও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে আশাবাদী ক্লিফোর্ড। বলছিলেন, "যে দল হাতে আছে, তা নিয়ে আমি খুশি। ছেলেদের কাছে এটা সুযোগ নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার।"