শতদ্রু দত্তফের খারিজ শতদ্রু দত্তের জামিনের আবেদন। লিওনেল মেসিকে ভারতে নিয়ে আসা শতদ্রু প্রভাবশালী। তাই তিনি জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সেই মর্মে আদালতে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। সেই আবেদনকে মান্যতা দেন বিচারপতি। ওই আইনজীবীর আরও দাবি, যুবভারতীতে মেসিকে আনা নিয়ে প্রায় ২৩ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
সওয়ালে বিভাস আদালতে জানান, 'এই তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ টিকিট কেটেছিলেন। ১৯ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল। সেদিনের অশান্তি, বিশৃঙ্খলায় ২ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়।' শতদ্রুর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী বলেন, 'শতদ্রু দত্ত খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন পেলে পালিয়ে যেতে পারেন। কারণ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিখ্যাত ফুটবলারের সঙ্গে প্লেনে ওঠার মুহূর্তে ধরা হয়েছে। এত বড় ঘটনা ঘটার পরে মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।'
পাল্টা আবেদন করতে গিয়ে শতদ্রুর আইনজীবী কোর্টে বলেন, 'এটা পেশাদার সংস্থার অনুষ্ঠান। মূল উদ্দেশ্য বিশ্ব বিখ্যাত ফুটবলারকে দেখানোর। প্রশাসন সহ সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হয়েছিল। এই সংস্থা আগে আন্তর্জাতিক একাধিক এই ধরনের ইভেন্ট করেছে সফলতার সঙ্গে। এই সংস্থা তাদের পেশাদারিত্ব আগেই প্রমাণ করেছে।'
শুধু তাই নয়, ৭ নভেম্বর বিধাননগর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিয়েছিল বলেও আদালতে জানান তিনি। আদালতে তাঁর সওয়াল, ঘটনা ঘটার পরে কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয়। তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানানো হয়েছে। আয়োজক সংস্থার দিক থেকে কোনও নিয়মভঙ্গ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আদালতে শতদ্রুর আইনজীবী জানান, 'দেশের সব জায়গায় শতদ্রু দত্তর সংস্থা তাঁদের পেশাদারিত্ব প্রমাণ করেছে। ফুটবল লেজেন্ডকে নিয়ে অন্য রাজ্যে সফল অনুষ্ঠান হয়েছে। আমার মক্কেল ৩-০ গোলে এগিয়ে আছেন। মেসির ক্ষেত্রে Z সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দা দফতরের তরফেও তদন্তে অশান্তির কোনও প্রমাণ মেলেনি। ২২ কোটি ফ্রিজ করা হয়েছে।'
শতদ্রুর শরীরের একাধিক নানান জটিল রোগ রয়েছে বলেও আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী। এই প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, 'শতদ্রু পালিয়ে যাবেন না। যেহেতু বিখ্যাত ফুটবলারের অন্য রাজ্যেও অনুষ্ঠান ছিল তাই যাচ্ছিলেন।'
যদিও তদন্তের স্বার্থে শতদ্রুর জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। তাঁকে ফের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।