খালিদ জামিলকে (Khalid Jamil) জাতীয় ফুটবল টিমের (Indian Football Team) কোচ করার দাবি তুলল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। মানেলো মার্কেজের (Manolo Marquez) কোচিংয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি ভারত। ব্লু টাইগার্সরা খুবই খারাপ ফুটবল খেলেছে শিলংয়ে। গোল করার জন্য অবসর নেওয়া সুনীল ছেত্রীকে (Sunil Chhetri) ফিরিয়ে এনেছেন মার্কেজ।
এই দেখেই ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'আমাদের দাবি, খালিদ জামিলের হতে জাতীয় টিমের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক। বিদেশি কোচের পারফরমাশ তো আমরা দেখলাম। আর কত খারাপ খেলবে? খালিদ অন্তত এর চেয়ে ভালো কাজ করবেন।'
খালিদের কোচিংয়ে আইএসএলে সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে জামশেদপুর। তিনি আইএসএলের একমাত্র ভারতীয় কোচ, যিনি বিদেশি কোচেদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেও অতীতে কোচিং করিয়েছিলেন তিনি। দেবব্রতর কথায়, 'আমরা যা খেলেছি, তার জন্য বিদেশি কোচের দরকার হয় না। আরও যেটা গুরুত্বপূর্ণ, খালিদকে কোচ করলে আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হবে ফেডারেশন। বিদেশি কোচের জন্য বিশাল টাকা ব্যয় হয়। খালিদের ক্ষেত্রে সেই খরচ অনেক কম হবে। অবিলম্বে ভেবে দেখা উচিত ফেডারেশন কর্তাদের।'
তবে এই খালিদ জামিলকেই একটা সময় ক্লাবের কোচের দায়িত্ব থেকে সরানোর জন্য আই লিগের পর, সুপার কাপের আগে প্রয়াত সুভাষ ভৌমিককে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করেছিল কোয়েস ইস্টবেঙ্গল। সেই টুর্নামেন্টে দলকে ফাইনালে তুললেও, বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে শেষ ম্যাচ হেরে যায় লাল-হলুদ।
সেই ম্যাচের পর আর ডুডু ওমাগবেমিদের কোচের দায়িত্বে ছিলেন না খালিদ। সেই সময় গোটা দল, আড়াআড়ি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যেত দলের বাইরে থেকেও। এমন অবস্থায়ও দলকে চ্যাম্পিয়ন করার চেষ্টা করেছিলেন খালিদ। তবে শেষ ম্যাচে হারতে হয়। তবে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাই খালিদকে জাতীয় দলের কোচ করার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।