ক্রিকেট মাঠে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিচিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেজন্য তাঁকে 'ক্যাপ্টেন কুল' বলে থাকে ক্রিকেট বিশ্ব। এবার এই নামটিকেই নিজের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জুড়়তে চান ধোনি। এই নামের স্বত্ত্ব বা ট্রেডমার্ক পেতে চাইছেন তিনি।
গত ৫ জুন ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রি পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করেন ধোনি। এই আবেদন মান্যতা পেলে তিনি কোচিং পরিষেবা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির জন্য 'ক্যাপ্টেন কুল' ব্যবহারের একচেটিয়া অধিকার পেয়ে যাবেন।
ধোনির আবেদনটি প্রাথমিকভাবে বাধা পেয়েছিল। কারণ, ট্রেড মার্কস আইনের ১১(১) নম্বর ধারা। তবে ধোনির আইনজীবীরা দাবি করেন, বছরের পর বছর ধরে ধোনিকে তাঁর ভক্তরা 'ক্যাপ্টেন কুল' নামে ডেকে থাকে। এই নামেই তাঁকে চেনে সবাই। তাই এর উপর একচেটিয়া অধিকার ধোনির থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, 'ক্যাপ্টেন কুল' শুধুমাত্র ধোনির নাম নয়। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক মধুর স্মৃতি। ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় থেকে শুরু করে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা- এই সব কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল এই নাম। প্রায় প্রতি টুর্নামেন্টেই প্রবল চাপের মধ্যে থেকে শান্ত মাথায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। এই সব পরিস্থিতির মধ্যেই ধোনির নাম হয়ে যায় 'ক্যাপ্টেন কুল'।
ব্র্য়ান্ড বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই নামের স্বত্ত্ব কিনে ব্যবসায়িক লাভ পাবেন। এই নাম তিনি পোশাক, জুতো, ডিজিটাল কন্টেন্টে ব্যবহার করতে পারেন। সেখান থেকে আয় হবে অনেক। ধোনি প্রথম নয়, মাইকেল জর্ডানের 'জাম্পম্যান' বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদেরও এই রকম স্বত্ত্ব রয়েছে। ভারতীয় তারকাদের মধ্যে সলমান খানের বিয়িং হিউম্যান যেমন বিখ্যাত। এই স্বত্ত্বও রয়েছে।
ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এখনও অন্যতম বড় ব্র্যান্ড। ২০২৪ সালে তাঁর ব্র্যান্ড মূল্য আনুমানিক ৭৯৯ কোটি টাকা ছিল। ৩৫টিরও বেশি বড় বড় বিজ্ঞাপন রয়েছে তাঁর হাতে।