দ্ধ এখন শুধু সীমান্তে নয়, মাঠেও। এবার কূটনীতির এক কঠিন সিদ্ধান্তে ভারত জানিয়ে দিল, পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতেও রাজি নয় BCCI। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) অংশ নেবে না টিম ইন্ডিয়া। বিসিসিআই-এর (BCCI) এই সিদ্ধান্ত শুধু ক্রিকেট নয়, সরাসরি কূটনৈতিক বার্তা বহন করছে ইসলামাবাদকে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না ভারত
ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে এশিয়া কাপ ২০২৫ আয়োজনের পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং পাকিস্তানের আগ্রাসী ভূমিকার জেরে বিসিসিআই জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না, এমনকী আয়োজক হিসেবেও থাকছে না।
তথ্য বলছে, এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নির্ধারিত পুরুষদের এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল T20 ফর্ম্যাটে। এতে অংশ নিত ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ মূলত ২০২৬ T20 বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই ধরা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের না-থাকায় পুরো টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। এমনিতে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক প্রায় এক দশক ধরে স্তব্ধ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না, ম্যাচ হয় শুধু বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপে। আগের বছরও পাকিস্তান এশিয়া কাপ ‘হোস্ট’ করলেও ভারতের সব ম্যাচ হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। এবার বিসিসিআই সোজা বয়কট করে দিল।
বিপুল অঙ্কের ক্ষতির মুখে Sony Pictures Networks India
এই সিদ্ধান্তের আর্থিক প্রভাবও মারাত্মক। এশিয়া কাপের সম্প্রচারের অধিকারের জন্য Sony Pictures Networks India প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ম্যাচ না হলে সেই লগ্নি বিফলে যাবে। বিশেষত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের স্পনসরশিপ ও বিজ্ঞাপন থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়। এখন সেই সম্ভাবনাও শেষ।
মহা বিপদে পড়ল পাকিস্তান
এই অবস্থায় পুরো বোঝাটা গিয়ে পড়ছে ACC-এর (Asian Cricket Council) বর্তমান চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মোহসিন নকভির উপর। সূত্র বলছে, ভারত ACC-কে আগেই জানিয়েছে তারা খেলবে না। ফলে পাকিস্তানই এবার বিপাকে। ভারতের এই কঠোর পদক্ষেপ বার্তা দেয়, যে দেশ সীমান্তে আগুন জ্বালায়, তাদের সঙ্গে বলও ঘোরানো যাবে না। এখন কেবল ময়দান নয়, রাজনীতি, কূটনীতি আর ক্রীড়াক্ষেত্র—সবখানেই পাকিস্তানকে একঘরে করার কৌশল নিয়েছে ভারত। যারা ভাবছেন, এটা শুধু ক্রিকেট—তাঁদের বুঝতে হবে, ভারতের কাছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার চেয়েও বড় কিছু নেই। এশিয়া কাপে না খেলার সিদ্ধান্ত সেই বার্তাই দিচ্ছে। পাকিস্তানকে এবার বুঝতে হবে, শুধু মাইক্রোফোনে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে, ‘খেলা হবে’ বলা যায় না—ভারতের সঙ্গে খেলতে গেলে আগে শান্তি ফেরাতে হবে সীমান্তে।