সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সময়ের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন,'আমরা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী শক্তিকে পাশে নিয়ে ভোটে যেতে চাই। তাহলেই বাংলার মানুষের আশা পূরণ হবে।' দু ক্ষেত্রেই 'গোল গোল' উত্তর। অর্থাত্ জোটের ইঙ্গিত স্পষ্ট নয়।
সমগ্র আন্দোলনটির সফলতার একক কৃতিত্বের দাবিদার হিসেবে তারা এ কথাগুলি প্রকাশ করেছিলেন। একক দাবিদার এজন্য দরকার ছিল, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশের সকল স্তরের প্রায় সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠন ও তার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন, এর জন্য তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।
এমনিতে সুযোগ পেলেই আমরা চলে যাই দার্জিলিং বা সিকিমের কোনও গ্রামে। তবে শান্ত পাহাড়ের এমন অশান্ত রূপ দেখতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। দ্রুত কলকাতায় ফিরব বলে শিলিগুড়ি থেকে যখন বাসের খোঁজ করছি, তখন ভাড়া দেখেও চক্ষু চড়কগাছ।
যে কারণে ছাত্রদলের কয়েক নেতা এবং বিএনপির মূল নেতা তারেক রহমান নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানালেও, একটি অংশ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিএনপির কয়েক বড় নেতা, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের বিপুল ভোটে ছাত্র শিবির বিজয়ী হয়েছে বলে নানান বক্তব্যে বলছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (যদিও হাসিনার দাবি তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে এখনও ইস্তফা দেননি) ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। ভারত ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে, হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেই ভারতের। একইসঙ্গে বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু নিধন চলছে, তাতেও তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মোদী সরকার।
দেশ রাজনীতি ছেলের হাতের লাড্ডু না। কিংবা যেমন খুশি তেমন সাজ বা নাচের রঙ্গমঞ্চও নয়। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দণ্ডমুণ্ডের একজন হয়ে মাথামুণ্ডহীন বচন ছাড়লে তার খেসারত হাতে হাতে যেমন দিতে হয়, তেমনি অনাগত কালেও কিছুটা জমা থাকে। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে দায়িত্বে থাকা বেকুব কোনো ব্যক্তির বচনের বা কর্মের ভোগান্তিটা যায় দেশের মানুষের উপর দিয়ে। বাংলাদেশ সেরকম একটি ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
যদি আমার ইসলামি খিলাফত শাসনের প্রচেষ্টা মন্তব্যকে অতিশয়োক্তি বলে মনে হয়, তাহলে ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় হিজবুর তাহরিকের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টারে ছেয়ে যাওয়া বা আইএসের পতাকা নিয়ে মিছিলকে মনে করিয়ে দেব।
কথাতেই আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, সেই মত ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভে সাহি স্নানে ২৯ই জানুয়ারি মৌনি অমাবস্যায় যোগ দিতে মা, প্রিয় বন্ধু অভীক আর আমার প্রাণ প্রিয় মোহনবাগানকে সঙ্গে নিয়ে পথ শুরু করেছিলাম হাওড়া থেকে। এমন অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি।
কখনও ভাবিনি, এমন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা হবে কুম্ভমেলায় গিয়ে! এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে মনে পড়লে। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এক অপূর্ব ধর্মীয় আবহে গঙ্গায় স্নান করব, পুণ্য লাভ করব। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।
Bally Bridge: হঠাত্ বললেন, 'ট্রেনে যাওয়া যাবে তো?' আমি বললাম, না, ট্রেন তো সম্পূর্ণ বন্ধ এই লাইনে। বলার পরেই বুঝলাম, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে উনি আনমনা।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-কে এক কথায় বললে: 'একজন নিপাট ভদ্রলোক।' ১৯৯৩ সাল, অমৃতবাজার পত্রিকায় আমি তাঁকে প্রথম দেখেছিলাম। খবরের কাগজের মালিকরা কংগ্রেসী ঘরানার ছিলেন। আমি সেখানে ট্রেনি রিপোর্টার ছিলাম। এখনও মনে আছে, ডঃ সিং হাত ভাঁজ করে নিউজরুমের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।