Darjeeling Snowfall: দার্জিলিঙে বরফ পড়ল, মরশুমের প্রথম স্নোফল, তুষারে ঢাকা সেই সব ছবি

দার্জিলিং শহরে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হল সোমবার। যাকে ঘিরে প্রবল উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত পর্যটকরা। 

মরশুমে সিকিম ও রাজ্যের সান্দাকফুতে বেশ কিছুদিন ধরেই তুষারপাত হচ্ছে। কিন্তু তাতে যেন মন ভরছিল না পর্যটকদের।

যতই হোক সান্দাকফুর উচ্চতা এবং দুর্গমতার কারণে সবাই সপরিবারে সেখানে যান না কিংবা যেতে পারেন না।

সেই তুলনায় অনেকটা নীচে দার্জিলিং শহরে তুষারপাত হওয়ায় শহরের মধ্যেই বরফ পড়া উপভোগ করলেন সাধারণ মানুষ।

ব্যাপক তুষারপাত না হলেও যেটুকু বড়ফ পড়েছে, সেটুকুও বড় পাওনা উপস্থিত পর্যটকদের কাছে।

কেউই ভাবতে পারেননি আচমকা সোমবার দার্জিলিং শহরে তুষারপাত হবে। ফলে পড়ে পাওয়া খুশিটা আরও খানিকটা বেড়ে গিয়েছে।

এদিন সকালে আচমকার ঝিরিঝিরি বরফ কুচি নেমে আসে আকাশ থেকে, যা এই মরশুমে প্রথমবার।

শুধু এই মরশুমে বললে পুরোটা বলা হয় না, আসলে তিন বছর পর ফের দার্জিলিং শহরে বরফ পড়ল। তাই উচ্ছ্বাসও বেশি।

শহর এবং শহর এলাকায় নিয়মিত বরফ না পড়ায় তুষারপাত শুরু হতেই পথে নেমে এলেন আপামর দার্জিলিংবাসী। পর্যটকদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ উপভোগ করলেন।

এদিকে ওপরে বরফ পড়লেও সমতলে এদিন তেমন ঠান্ডা না থাকায় অনেকেই তুষারপাতের খবরে দার্জিলিংয়ের দিকে ছুটেছেন।

তবে এদিন টানা তুষারপাত না হওয়ায় অনেকেই দেরিতে গিয়ে বরফ দেখতে পাননি। ততক্ষণে বরফ গলে জল হয়ে গিয়েছে।

দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু জায়গা শুকনো থাকলেও, বেশকিছু জায়গাতে তুষারপাত এবং বেশ কিছু জায়গাতে বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিন সকাল নাগাদ জলাপাহাড় এলাকায় হঠাৎ তুষারপাত শুরু হয়। সাদা বরফে ঢেকে যায় চারিদিক। গাড়ি চালাতেও সমস্যা হচ্ছিল। বিশেষ করে বাইক চালানো দুরূহ হয়ে পড়ে।

এই এলাকাতেই রয়েছে বিখ্যাত নর্থ পয়েন্ট স্কুল এবং সেন্ট পলস চার্চ। এই স্কুলেই শুটিং হয়েছিল শাহরুখ খান-সুস্মিতা সেন অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা 'ম্যায় হুঁ না'।

এদিন নর্থ পয়েন্ট চত্বর বেশ কিছুক্ষন সাদা বরফে ঢেকে থাকে। তুষারে সাদা হয়ে যায় রাস্তাঘাট, পাহাড়ের ধাপ। 

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে এটাই শেষ নয়, বরং শুরু এই মরশুমে আরও একাধিকবার তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদিন দার্জিলিং ও আশপাশের যে সমস্ত পর্যটকরা ছিলেন, সবাই তুষারপাতের খবরে সাইটসিনের মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন জলাপাহাড়ের দিকে।

অন্যান্য টুরিস্ট পয়েন্টগুলি এদিন ফাঁকাই ছিল। সবাই তখন শুধু বরফ দেখতে চান। হাত দিয়ে ছুঁয়ে অনুভব করতে চান। যতই হালকা হোক না কেন, তাতে আনন্দ উপভোগে কোন খামতি ছিল না।