বিশ্ব স্ট্রোক দিবসআজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। সারা পৃথিবীতে স্ট্রোকের মতো মারাত্মক একটি অসুখ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই দিনটি পালিত হয়। বিশেষত, স্ট্রোক প্রতিরোধ নিয়ে ছড়ানো হয় বার্তা।
আসলে স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের অসুখ। এই রোগে আক্রান্তের ব্রেনের রক্তনালীতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হতে পারে। আবার রক্তনালী ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এর ফলে ব্রেন নিজের কিছু কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। সহজ ভাষায়, একেই বলা হয় স্ট্রোক।
এই প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স কলকাতার স্ট্রোক বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ অপ্রতিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'স্ট্রোক একটি জটিল অসুখ। আর মুশকিল হল বর্তমানে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের লাইফস্টাইলজনিত কারণে স্ট্রোক হতে পারে। আর আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হল, সারা ভারতের মধ্যে কলকাতায় স্ট্রোকে মৃত্যুহার সবথেকে বেশি। এই পরিসংখ্যান আগামিদিনে আরও খারাপ দিকে যেতে পারে। আর বর্তমানে লাইফস্টাইলজনিত কারণে কম বয়সেও স্ট্রোক হচ্ছে। তাই আমাদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস।'
কেন হয় স্ট্রোক?
এর পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানালেন সিএমআরআই হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট ডাঃ দীপ দাস। তিনি বলেন, 'অধিকাংশ স্ট্রোকের পিছনে থাকে কিছু স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। যেমন ধরুন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার ইত্যাদি। এছাড়া ধূমপান ও শারীরিক পরিশ্রম না করাও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।'
প্রতিটি মিনিট জরুরি
মনে রাখবেন, এ বারের বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের থিম হল হল Every Minutes Count। আসলে স্ট্রোকের পর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যেতে হবে। তাহলেই ব্রেন ড্যামেজের আশঙ্কা কমবে। তাই কারও স্ট্রোক হলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রোগ প্রতিরোধ কীভাবে?
এই বিষয়ে কয়েকটি টিপস দিয়েছেন ডাঃ দীপ দাস। সেগুলি হল-
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।