বর্তমান সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। জীবনযাত্রা , অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরে ফাইবারের অভাব, স্ট্রেস ও আরও বেশ কিছু কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এই সমস্যা যে কোনও বয়সের মানুষেরই হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পরিপাকতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মল ত্যাগ করতে সমস্যা হয়। অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যকে একটি ছোট সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করে। তবে দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য আপনার স্বাস্থ্যের উপর অনেক প্রভাব ফেলতে পারে।
যদি আপনার সপ্তাহে তিনটিরও কম মলত্যাগ হয়, তবে এটিকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে মল শক্ত,শুষ্ক হয়, ফলে অপসারণ করা কঠিন। এটি ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ২২%, বিশেষ করে মহিলা এবং বয়স্কদের প্রভাবিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কেবল পেটের সমস্যাই নয়, আরও অনেক সমস্যাও সৃষ্টি করে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় না করা হয়, তবে এটি পাচনতন্ত্রে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও, এটি শরীরের বাকি অংশকেও প্রভাবিত করে। জেনে নিন কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে আপনার কী কী সমস্যার হতে পারে।
অর্শ -মলত্যাগের সময় চাপ
মলদ্বারের শিরাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে রক্তনালী (অর্শ) ফুলে যায় বা মলদ্বারের আস্তরণে ছোট ছোট ছিঁড়ে যায় (ফিসার), যা বেদনাদায়ক হতে পারে এবং রক্তপাত হতে পারে।
পেট ফাঁপা এবং পেটে ব্যথা
যখন মল খুব বেশিক্ষণ কোলনে থাকে, তখন এটি গাঁজন করে এবং গ্যাস নির্গত করে। এর ফলে ফোলাভাব, খিঁচুনি এবং ক্রমাগত পূর্ণতার অনুভূতি হয়, যার ফলে ক্ষুধা হ্রাস পেতে পারে।
মলদ্বার প্রসারিত
গুরুতর ক্ষেত্রে, ক্রমাগত চাপের কারণে মলদ্বার প্রসারিত হতে পারে এবং মলদ্বার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে।
মলের সমস্যা
শুষ্ক, শক্ত মল অন্ত্রে আটকে যেতে পারে, যার ফলে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে এটি বেশ সাধারণ এবং ম্যানুয়ালি বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণের প্রয়োজন হতে পারে।
অন্ত্রের দুর্বল স্বাস্থ্য
কোষ্ঠকাঠিন্য পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্য চলাচলকে ধীর করে দেয়, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করে। এটি বিপাক-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রস্রাবের সমস্যা
মহিলাদের ক্ষেত্রে, পূর্ণ মলদ্বার মূত্রাশয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে মূত্রনালীর ধারণক্ষমতা দেখা যায়। অন্ত্র এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতার মধ্যে এই ওভারল্যাপ পেলভিক ফ্লোরের কর্মহীনতার ক্ষেত্রে দেখা যায়।