বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠল লন্ডনের রাজপথওবাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবার গর্জে উঠল লন্ডনের রাজপথও। শনিবার, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে ভারতীয় ও বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হত্যা ও হিংসার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ সমাবেশ করে। খালিস্তানপন্থী একটি গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্য বাংলাদেশের সমর্থনে উপস্থিত হলে বিক্ষোভ নতুন মোড় নেয়।
বিক্ষোভকারী হিন্দুরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' বাজিয়ে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা বলেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া। বাংলাদেশে নৃশংসতার অভিযোগে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার একদিন পর লন্ডনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে মানুষ রাস্তায় নেমে বাংলাদেশ সরকারের জবাবদিহি দাবি করে বিক্ষোভ দেখায়।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসায় এখন খালিস্তানিরা যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের সমর্থনে খালিস্তানি চরমপন্থীরা শনিবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ করেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিল, তখন এই ঘটনা ঘটে।
দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিক্ষোভ
সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুসারে, এ পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা মশাল মিছিল করেছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া বিজেপি নেত্রী অনিতা মাহাতো বলেন, 'যতক্ষণ না হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।' এর আগে, দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য শহরেও হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন।
ভারত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার নিন্দা জানায়
এদিকে, ভারত সরকার বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বারবার হিংসার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলমান হিংসার বিষয়ে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা ময়মনসিংহে একজন হিন্দু যুবকের হত্যার নিন্দা জানাই এবং আশা করি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।'