Silver Price Crash: পতন অব্যাহত রুপোর, ৭ দিনে দাম নামল ২০ হাজার টাকা, আরও কত কমবে?

Silver Price Crash Last Week: গত সপ্তাহে সোনার দাম কমেছে, পাশাপাশি রুপোর দামও কমেছে। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে রুপোর দাম ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

Advertisement
পতন অব্যাহত রুপোর, ৭ দিনে দাম নামল ২০ হাজার  টাকা, আরও কত কমবে?কলকাতার বাজারে সস্তা রুপো

Silver Price Crash Last Week: গত সপ্তাহে সোনার দাম কমেছে, পাশাপাশি রুপোর দামও  কমেছে। প্রসঙ্গত, রুপোর দাম ক্রমাগত বাড়ছিল, কিন্তু গত সপ্তাহে তা থেমেছে বলে মনে হচ্ছে। মাত্র সাত দিনের মধ্যে, রুপোর দাম প্রতি কেজিতে ২০,০০০ টাকারও বেশি কমেছে। কেবল MCX-এ নয়, দেশীয় বাজারেও রুপোর দাম তীব্রভাবে কমেছে। সম্প্রতি, রুপোর দাম ১.৭০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়, কিন্তু এখন এটি তার সর্বোচ্চ দাম থেকে অনেকটাই কমে গেছে। চলুন এই পতনের পিছনের প্রধান কারণগুলি জানা যাক-

MCX-এ রুপো এত সস্তা হয়েছে
সোনার পতন অব্যাহত রয়েছে, সেইসঙ্গে আরেকটি মূল্যবান ধাতু, রুপোর দামও কমছে। ১৬ অক্টোবর, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (MCX) রুপোর দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬৭,৬৬৩ টাকা। তবে, শুক্রবার, MCX-এ ১ কেজি রুপোর ফিউচার মূল্য কমে ১৪৭,১৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলস্বরূপ, মাত্র ৭ ব্যবসায়িক দিনে রুপোর দাম প্রতি কেজি ২০,৫১৩ টাকা কমেছে।

এখন দেশীয় বাজারে দাম 
শুধুমাত্র মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (MCX) তে নয়, দেশীয় বাজারেও রুপোর দাম কমেছে। ইন্ডিয়ান বুলিয়ান জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (IBJA.com) এর আপডেট করা হার অনুসারে, ১৬ অক্টোবর রুপোর দাম প্রতি কেজিতে ছিল ১৬৮,০৮৩ টাকা, কিন্তু সপ্তাহের শেষ ব্যবসায়িক দিন শুক্রবার তা ক্রমাগত কমে ১৪৭,০৩৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলস্বরূপ, এর দাম প্রতি কেজিতে ২১,০৫০ টাকা কমেছে।

রুপোর দাম কমে যাচ্ছে কেন?
রুপোর দাম কমে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দীপাবলি এবং ধনতেরাস উৎসবের পর চাহিদা কমে যাওয়া, যা দামের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আরেকটি কারণ হলো, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বুকিংয়ের কারণে রুপোর দাম সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পর কমে গেছে।

তৃতীয় কারণ হিসেবে মার্কিন ডলারের শক্তিমত্তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। সোনা এবং রুপো উভয়ই ডলারে লেনদেন হয়। অতএব, যখন মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়, তখন অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য রুপোর দাম আরও বেশি হয়ে যায় এবং এর চাহিদা হ্রাস পায়। ২০১৯ সাল থেকে ডলার সূচক ০.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সামান্য, তবুও এটি বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উপর প্রভাব ফেলছে। ডলারের শক্তিশালী হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা সোনা এবং রুপোর মতো মূল্যবান ধাতু থেকে অর্থ তুলে ডলারে বিনিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছেন, যার ফলে রুপোর দাম কমেছে।

Advertisement

অন্যান্য কারণের কথা বলতে গেলে, চতুর্থ প্রধান কারণ হল ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। যদি বিশ্ব পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে বা অর্থনৈতিক উত্তেজনা কমে যায়, তাহলে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরে এই ধাতুগুলির দাম বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছিল, কিন্তু এখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার লক্ষণগুলি এর দামের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং রুপোর দাম কমেছে। পঞ্চম কারণটি ETF এবং  কমোডিটি মার্কেটে  ওঠানামাকে  বিবেচনা করা যেতে পারে।  যখন বৃহৎ ETF Funds  রুপোর উপর তাদের হোল্ডিং কমিয়ে দেয়, তখন বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পায় এবং দাম কমতে শুরু করে।

POST A COMMENT
Advertisement