এমার্জেন্সি ফান্ডবিপদের সময় কাজে দেয় এমার্জেন্সি ফান্ড। এটি সেই সময় অর্থের জোগান দেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা সবসময় এমার্জেন্সি ফান্ড গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
কিন্তু মুশকিল হল, আমাদের মধ্যে অনেকে ভাল টাকা বেতন পাওয়ার পরও এমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করেন না। আর তার ফলও ভোগ করতে হয়। বিপদে পড়লে লোকের কাছে চাইতে হয় ধার। তাই এই সমস্যা সমাধানে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং Manasi Research Foundation-এর চেয়ারম্যান মানসকুমার ঠাকুরের সঙ্গে। তিনিই আমাদের এমার্জেন্সি ফান্ডের গুরুত্ব এবং বেতনের কত শতাংশ এই ফান্ডের জন্য তুলে রাখা উচিত, সেটা জানালেন।
কেন দরকার এমার্জেন্সি ফান্ড?
বিপদ কখনও জানান দিয়ে আসে না। হুট করেই উদয় হয়। আর তার জন্য তৈরি থাকা উচিত। এক্ষেত্রে আপনার বা বাড়ির কারও শরীর খারাপ হলে, চাকরি চলে গেলে বা বাড়ির কোনও জিনিস খারাপ হলে হুট করে অনেকটা টাকা খরচা করার প্রয়োজন পড়তে পারে। আর এই টাকাটা না থাকলে তখন অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। তাই যে কোনও মানুষের উচিত এমার্জেন্সি ফান্ড গড়ে তোলা। তাহলেই বিপদের সময় নিজেকে ও পরিবারকে সামাল দিতে পারবেন। হবে না সমস্যা বলে মনে করেন মানসবাবু।
কতটা টাকা জমানো জরুরি?
এই প্রশ্নের উত্তরে মানসবাবু বলেন, 'এটা বয়স এবং খরচের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে যখন বয়স কম, তখন বেশি টাকা এই খাতে জমানো উচিত। আর যখন বয়স বেড়ে যায়, দায়িত্ব কাঁধে চাপে। তখন কম টাকা জমানো যেতে পারে। তাহলে ব্যালেন্স হবে ঠিকঠাক।'
কত টাকা জামানো উচিত প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, 'চাকরি শুরুর সময় ১৫ শতাংশ বা তার বেশি জমানো উচিত। তবে বয়স যখন বাড়ছে, যখন কাঁধে দায়িত্ব চাপছে, তখন ৮ থেকে ১০ শতাংশ জমালেও কাজ হবে।'
আজই শুরু করুন
এই ফান্ড তৈরি করতে চাইলে আজই জমানো শুরু করুন। সেক্ষেত্রে সবার প্রথমে একটা বাজেট ঠিক করে নিতে হবে। দেখে নিন আপনার কত টাকা জামানোর লক্ষ্য। সেই মতো ফান্ডটা বানানো শুরু করে দিন।
এই টাকা জমানোর জন্য আপনি একটা নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সেখানেই রাখতে পারেন টাকা। আর চেষ্টা করুন অপ্রয়োজনে সেই টাকা না তোলার। তাহলেই আপনার কাছে বিপদের সময় টাকার অভাব হবে না।
এছাড়া কেউ চাইলে এই টাকা মিউচুয়াল ফান্ডেও রাখতে পারেন। তবে এখানে ইনভেস্ট করলে হুট করে প্রয়োজন হলে তুলতে পারবেন না। বরং আপনাকে ২-৪ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে এখানে টাকা রাখলে কিছুটা বেশি লাভ পাবেন। আর সেটা না চাইলে রেকারিং ডিপোজিট করতে পারেন। সেটায় নিয়মিত সুদ পাবেন। পাশাপাশি ডিপোজিট যখন খুশি ভাঙতে পারবেন। এটাই এর সুবিধা।