Suvendu Adhikari: 'সংগঠন বাড়ান, বুথে যান', নয়া সভাপতি শমীককে পাশে নিয়ে কর্মীদের বার্তা শুভেন্দুর

কালকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার জন্য নতুন রাজ্য সভাপতি বেছে নিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের পর এবার বঙ্গ বিজেপির ব্যাটন উঠল শমীক ভট্টাচার্যের হাতে। দীর্ঘ জল্পনার পর তাঁকেই বেছেন নেওয়া হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য। সায়েন্স সিটিতে পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে শমীকের বরণের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখান থেকে ২০২৬ সালে কীভাবে বিজেপি সরকার গঠিত হবে সেই ফর্মুলা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement
'সংগঠন বাড়ান, বুথে যান', নয়া সভাপতি শমীককে পাশে নিয়ে কর্মীদের বার্তা শুভেন্দুরশমীক ভট্টাচার্যকে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন শুভেন্দু অধিকারী

কালকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার জন্য নতুন রাজ্য সভাপতি বেছে নিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের পর এবার বঙ্গ বিজেপির ব্যাটন উঠল শমীক ভট্টাচার্যের  হাতে। দীর্ঘ জল্পনার পর তাঁকেই বেছেন নেওয়া হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য। সায়েন্স সিটিতে পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে  শমীকের বরণের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখান থেকে ২০২৬ সালে কীভাবে বিজেপি সরকার গঠিত হবে সেই ফর্মুলা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়তে আর ৪-৫ শতাংশ ভোটের দরকার। ৮০ ভাগ হিন্দু ভোট দিলেই রাজ্যের সরকার বদল সম্ভব। আর সেইকারণে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। মানুষের কাছে যেতে হবে সংগঠনকে। কলকাতার পাশাপাশি সারা রাজ্যে কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়েও জোর দেন শুভেন্দু। গণআন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন। তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শমীক ভট্টাচার্যকে  পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বক্তৃতার শুরুতেই বিজেপি-র অতীতের কথা বলেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'অতীত যদি কেউ ভুলে যায়, তার ভবিষ্যৎ ভাল হতে পারে না। তাই আমি প্রাক্তন সভাপতি ত্রয়, বর্ষীয়ান অধ্যাপক অসীম ঘোষ, দাদা রাহুল সিনহা এবং সতীর্থ সুকান্ত মজুমদারকে অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই, অভিনন্দন জানাই।' ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার ডাক দিয়ে দলের কর্মীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কপালের ওপরে নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরে নয়, নিজেদের কর্মের ওপরে জোর দিতে হবে, প্রতি বুথে ৩০ জন যোদ্ধা তৈরি করে তৃণমূলকে হঠাতে হবে। এটাই হোক, শমীক ভট্টাচার্যকে আমাদের সংবর্ধনা।' 

প্রসঙ্গত, এদিন নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যকে স্বাগত জানান সদ্য প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সায়েন্স সিটিতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশল, রবিশঙ্কর প্রসাদ, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য-সহ একাধিক নেতা। তবে রাজনৈতিক মহলের নজর কাড়ে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি। দলের এই বড়সড় পরিবর্তনের দিনে অনুষ্ঠানে থাকলেন না বিজেপির সবচেয়ে সফল রাজ্য সভাপতি।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement