পাঁচ রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত আছে, এসআইআর হচ্ছে শুধু বাংলায়: অভিষেকবাংলায় SIR শুরু ১ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মঙ্গলবারই সেকথা ঘোষণা করে। এদিকে বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার SIR নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফায় ১২ রাজ্যে SIR ঘোষণা করেছে কমিশন। সেখানে অসমের নাম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। রীতিমতো আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, ‘আগে ভোটাররা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করত। আর এখন সরকার ঠিক করবে কারা ভোট দেবে।’ এরপরই অভিষেক জুড়ে দেন, ‘SIR করে ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করা লক্ষ্য নয়। যাতে জিততে পারে সেটাই লক্ষ্য। আর যদি ভোটার লিস্ট ত্রুটিযুক্ত হয় তাহলে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হোক অবিলম্বে।’
এরপরই অভিষেকের সংযোজন, ‘একটা বৈধ ভোটার বাদ গেলে এক লক্ষ লোক কমিশন ঘেরাও করবে।’ অভিষেক আরও যোগ করেন, ‘এত অহঙ্কার। মানুষের প্রাণের কোনও দাম নেই। এখন বলছে ২ মাসের মধ্যে নাকি সব ঝাড়াই বাছাই হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, '২০০২-এর SIR সময় লেগেছিল দুই বছর। এখন বলছে দুই মাসে শেষ করবে। আগামী বছর যে সব রাজ্যে ভোট আছে, সেখানে SIR হচ্ছে, কৌশলে কেবল অসমকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় আছে সেখানে। তাই সেখানে SIR নয়। যদিও বাংলায় হবে। তাহলে এক দেশ এক নির্বাচন গল্প দেন কেন? কমিশনের কোন নিয়মে লেখা আছে এক রাজ্যে SIR হবে না অন্য রাজ্যে হবে? এর উত্তর কমিশন দিতে পারেনি।'
পাশাপাশি মানচিত্র দেখিয়ে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, আরও অনেক রাজ্যের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের, তবু শুধু বাংলায় এসআইআর হচ্ছে। মায়ানমারের ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত না থাকলেও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে বাংলাকে। অভিষেক বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে ৫ রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, অসম, মিজোরাম ও ত্রিপুরা। ৫ রাজ্যের মধ্যে SIR হচ্ছে শুধু বাংলায়।' তাঁর প্রশ্ন বাংলাদেশের সঙ্গে বর্ডার শেয়ার করছে বাংলা, অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়। ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশি ধরা পড়েছে, অসমে রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে বর্ডার শেয়ার করে না বাংলা, অন্য রাজ্যগুলি করে। তাহলে রোহিঙ্গা আসছে কোনখান থেকে?
আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'চ্যালেঞ্জ করছি গতবারের চেয়ে এক আসন বেশি পাব, বিজেপিকে ৫০ নামাব। আদালতের গাইডলাইন না মানলে আদালতে যাব আর রাজনৈতিক লড়াই করব। বিজেপি আন্ডারটেকিং দিয়ে বলুক, হেরে গেলে বকেয়া ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে দেব।'