পশ্চিমবঙ্গ SIR হিয়ারিংইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার লিস্ট। এর পর বৃহস্পতিবার থেকেই ভোটারদের হিয়ারিংয়ের জন্য নোটিস পাঠাতে চলেছে কমিশন বলেই খবর। আর এমন পরিস্থিতিতে সকলের মধ্যেই প্রশ্ন হল, ঠিক কাদের ডাকা হবে হিয়ারিংয়ে? আর সেই উত্তরটাও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তাদের তরফে জানান হয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের সঙ্গে কোনও রকম যোগসূত্র দেখাতে পারেনি যেই সকল ভোটার, তাদের প্রথমেই ডাকা হবে হিয়ারিংয়ে।
২০০২ সালের ভোটার লিস্টের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র না থাকা মানুষগুলিকে বলা হচ্ছে নো ম্যাপিং ভোটার। এই সংখ্যাটা প্রায় ৩০ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৭৩ জন বলে জানা গিয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। আর তাদের সকলকেই নোটিস দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
সন্দেহ অন্যদের ক্ষেত্রেও রয়েছে
এই নো ম্যাপিং ভোটার বাদে আরও অসংখ্য ভোটারকে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কমিশনের। এই তালিকায় রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটার বলেই খবর। এই সব ভোটারই এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছে। কিন্তু তাদের ফর্মে থাকা তথ্য দেখে সন্দেহ হয়েছে কমিশনের। আর সেই সকল ভোটারদের তথ্য আরও একবার করে যাচাই করবেন বিএলও-রা বলেই খবর। তারপরই তাদের নাম থাকবে ফাইনাল ভোটার লিস্টে।
তবে বিএলও-রা দেখার পরও যদি কমিশনের সন্দেহ না যায়, তাহলে তাদের ডাকা হতে পারে শুনানির জন্য বলেই খবর। অর্থাৎ একটা বিপুল সংখ্যক ভোটারদের যে ডাকা হবে শুনানিতে, এই কথাটা একবারে পরিষ্কার।
কোথায় হবে শুনানি?
প্রতিটি বিধানসভা এলাকার একাধিক জায়গায় শুনানি চলবে। ভোটারদের কাছাকাছি কোনও জায়গাতেই শুনানিতে ডাকা হবে।
কী কী নথি দেখাতে হবে?
কমিশনের পক্ষ থেকে SIR প্রক্রিয়ার শুরুতেই একাধিক নথি দেখানোর কথা বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে ওই লিস্ট থেকে যে একটি নথি দেখান মাস্ট। তবে প্রয়োজন ভোটারকে একাধিক নথিও দেখাতে হতে পারে।
কতদিন সময় পাবেন ভোটাররা?
নোটিস পাওয়ার মোটামুটি ৭ দিনের মধ্যেই ভোটারকে সেখানে উপস্থিত হতে হবে। এটাই হল নিয়ম। তবে কোনও ভোটার যদি সেই সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে না পারেন, সেক্ষেত্রে তাকে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।এছাড়া বয়স যাদের ৮৫ বছর বা তারও বেশি, তাদের ক্ষেত্রে বাড়ি গিয়ে হিয়ারিং হবে বলে খবর।