ড্রাফ্ট ভোটার লিস্টআজ প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ SIR-এর খসড়া ভোটার তালিকা। ইতিমধ্যেই অনেকে নিজের নাম খুঁজে নিয়েছেন ভোটার তালিকায়। এখন প্রশ্ন হল, ড্রাফ্ট লিস্টে নাম থাকলেই কি আপনি সেফ? নাকি এরপরও নাম বাদ যেতে পারে? ডাকা হতে পারে হিয়ারিংয়ে? আর এই সব প্রশ্নের উত্তরে বলি, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে মানেই আপনি 'নিরাপদ' নন। বরং এরপরও প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন ডাকতে পারে হিয়ারিংয়ে। আপনার কাছে চাওয়া হতে পারে নথি। সেই সব নথি দেখাতে না পারলে বাদ যেতে পারে নাম।
অর্থাৎ সোজা ভাষায় যদি বলি, ড্রাফ্ট ভোটার লিস্ট হল প্রাথমিক তালিকা। এখানে এনুমারেশন ফর্ম যারা ঠিক মতো জমা দিয়েছেন, তাদের সবার নামই রয়েছে। এরপরই শুরু হবে নতুন প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ায় কোনও সন্দেহ হলেই ডাকতে পারে কমিশন। এটাই হল নিয়ম।
কাদের হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে?
এই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। আর সেই তালিকাটা জেনে নিন-
১. আপনার নাম যদি ২০০২ ভোটার লিস্টে না থাকে, তাহলে কমিশনের মনে হলে আপনাকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে। এটাই হল প্রথম কারণ।
২. ২০০২ ভোটার লিস্টে যদি বাবা-মা বা ঠাকুমা-ঠাকুরদার নাম না থাকে, তাহলেও ডাকতে পারে কমিশন।
৩. কাকা-দাদা বা অন্য কোনও আত্মীয়ের নাম দিয়ে এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করলে ডাকা হতে পারে হিয়ারিংয়ে।
৪. বাবা-মায়ের বয়সের ফারাক যদি ১৫ বছর বা তার বেশি হয়, তাহলেও নির্বাচন কমিশন ডাকতে পারে।
৫. এনুমারেশন ফর্মে দেওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ হলেও ডাকা হতে পারে।
তাই সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না। তবে যাদের বাবা-মায়ের নাম বা নিজের নাম ২০০২ ভোটার লিস্টে রয়েছে, তাদের খুব একটা চিন্তার কিছু নেই। তাদের নাম এমনিই থাকবে।
হিয়ারিং নিয়ে বেশি ভাববেন না
হিয়ারিংয়ে ডাকলেই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। শুধু নিজের ডকুমেন্টস সব গুছিয়ে নিয়ে চলে যান। কমিশন যে ১১টি ডকুমেন্টস দেখাতে বলেছে, সেগুলির মধ্যে একটা দেখান। তাহলেই কাজ হবে। আপনার আর সমস্যা হবে না। ফাইনাল ভোটার লিস্টে নাম থাকবে।