মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদকে কেন্দ্র করে যেই আইনি লড়াই বহুদিন ধরে চলছে, সেই মামলায় এবার এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এলাহাবাদ হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এখনই শাহি ইদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ বলা যাবে না। হিন্দু পক্ষের করা এই সংক্রান্ত আবেদনকে খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
‘বিতর্কিত কাঠামো’ বলাটা আইনসঙ্গত নয়
এই মামলায় হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্র প্রতাপ সিং একটি আবেদন (Application A-44) করেছিলেন, যেখানে তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, শাহি ইদগাহ মসজিদকে আর ‘মসজিদ’ না বলে কোর্টের নথিতে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ বলা হোক। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতের সব কোর্টের কাগজপত্র ও শুনানিতেও যেন ‘শাহি ইদগাহ মসজিদ’ শব্দটা বাদ দিয়ে তার জায়গায় ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখা হয়, এই আর্জিও জানান তিনি। কিন্তু এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করে মুসলিম পক্ষ। তাঁরা আদালতে লিখিত আপত্তি জমা দিয়ে বলেন, এটি একতরফা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ। তাঁদের মতে, কোনও বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ বলাটা আইনসঙ্গত নয়।
শাহী ইদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হল না
এই সব যুক্তি-প্রতিযুক্তি শোনার পর, বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের একক বেঞ্চ হিন্দু পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে এখন আদালতের দৃষ্টিতে শাহী ইদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হল না।
মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও পাশের শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়ে মোট ১৮টি মামলা চলছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, জন্মভূমির জমির একটা অংশে মসজিদ রয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম পক্ষ বলছে, মসজিদ দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে রয়েছে এবং তা আইন মোতাবেক। এই মামলাগুলি একত্র করে এলাহাবাদ হাই কোর্টে শুনানি চলছে। এখনকার সিদ্ধান্ত শুধু একটিমাত্র আবেদন সংক্রান্ত হলেও, তা গোটা মামলার ভবিষ্যতের রাস্তাকে অনেকটাই চিহ্নিত করে দিল। আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে ২ অগাস্ট।
এই ঘটনায় হিন্দু পক্ষ কিছুটা ধাক্কা খেলেও মামলার মূল বিষয় এখনও বিচারাধীন। ফলে পরবর্তী শুনানিতেই জানা যাবে, মথুরার জন্মভূমি-ইদগাহ মামলা কোন পথে এগোবে।