Dev Vs Screening Comitee: ছবি রিলিজ নিয়ে স্ক্রিনিং কমিটির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে দেবের, বিপদে পড়তে পারেন অভিনেতা?

বাংলা সিনেমা ভবিষ্যতে যেন সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য গঠন করা হয়েছে স্ক্রিনিং কমিটি। এই কমিটির সদস্যরা ঠিক করে দেবে কোন সময়ে কী কী বাংলা ছবি মুক্তি পাবে। যাতে একই সঙ্গে একাধিক বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার পর কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়। ২৭ ডিসেম্বর শনিবার ছিল এই স্ক্রিনিং কমিটির আরও একটি বৈঠক।

Advertisement
ছবি রিলিজ নিয়ে স্ক্রিনিং কমিটির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে দেবের, বিপদে পড়তে পারেন অভিনেতা?স্ক্রিনিং কমিটির সঙ্গে দুরত্ব বাড়ছে দেব
হাইলাইটস
  • কিন্তু স্ক্রিনিং কমিটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই নানা মতানৈক্য চলছে।

বাংলা সিনেমা ভবিষ্যতে যেন সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য গঠন করা হয়েছে স্ক্রিনিং কমিটি। এই কমিটির সদস্যরা ঠিক করে দেবে কোন সময়ে কী কী বাংলা ছবি মুক্তি পাবে। যাতে একই সঙ্গে একাধিক বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার পর কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়। ২৭ ডিসেম্বর শনিবার ছিল এই স্ক্রিনিং কমিটির আরও একটি বৈঠক। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রযোজক-পরিচালকেরা। ছিলেন ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত ও ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। বেশ কয়েক মাস ধরেই একসঙ্গে একাধিক বাংলা ছবি মুক্তি নিয়ে অশান্তি চলছিল। সম্প্রতি সেরকম আরও কিছু সমস্যা সামনে এসেছে। শনিবার স্ক্রিনিং কমিটি থাকবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা ও ভোট ছিল। যেখানে অনুপস্থিত ছিলেন দেব। 

কিন্তু স্ক্রিনিং কমিটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই নানা মতানৈক্য চলছে। এই নিয়ে ফের শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ইম্পার অফিসে একটি বৈঠক বসে। যেখানে স্ক্রিনিং কমিটি আদৌ থাকবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়।  ১২ জন কমিটির পক্ষে ভোট দেন। দেব কমিটির পক্ষে নন। তবে তিনি ১২-১ ভোটে হেরে যান। তাই কমিটি থাকছে। দেবকে ফোন করে তাঁর মত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সুতরাং এখান থেকে বলা যায় দেবের সঙ্গে স্ক্রিনিং কমিটির একটা দূরত্ব থেকেই গেল। বলে রাখা ভালো এর আগে দেবের ছবি মুক্তির আগে এই স্ক্রিনিং কমিটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এই কমিটি বাংলা ছবির ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবে ১৯ জানুয়ারি।  

এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত, ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ‌্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ‌্যায়-সহ আরও অনেকে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময়ে চারটে বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ‘রক্তবীজ টু’-র সঙ্গে যুক্ত জিনিয়া সেনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। তিনি থানাতে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন। কারা এমন আক্রমণ করলেন? উত্তর খুঁজছে টলিপাড়া। এখানেই শেষ নয়, কদিন আগেই নবীনা সিনেমা হলের সামে অশানত করেছেন কিছু সিনেপ্রেমীরা। কারণ সেখানে দেবের প্রজাপতি ২ চালানো হচ্ছে না বলে।

Advertisement

এদিকে অশোকা, প্রিয়া, মেনকা-তে দেবের ছবি চলবে, তা ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আর নবীনা-তে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ শো পাবে, তা নাকি ডিসট্রিবিউটাররা আলোচনার মাধ্যমেই ঠিক করেছিলেন। তা সত্ত্বেও সিনেমা হলের বাইরে এমন সমস্যার চোটে এবার দর্শকরা বিরক্ত। একইভাবে বিরক্ত প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা থেকে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বাংলার অন্যতম নামী প্রযোজক শ্রীকান্তের বক্তব্য, এমন ঘটনা চলতে পারে না। এদিকে চক্রান্ত করে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির রেটিং কমিয়ে দেওয়া হয়েছে মুক্তির প্রথম দিনেই, এমন অভিযোগ প্রযোজকের। কারা এমন করছে, তার তদন্তে সাহায্য় চাইতে, টলিপাড়ার মাথারা বুধবারই নাকি লালবাজারে পৌঁছবেন।

এত সব সমস্যা সামনে আসার পরই স্ক্রিনিং কমিটি নড়েচড়ে বসে এবং তাঁদের পক্ষে ভোট আসার পরই এবার আরও বড় পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। ইম্পা সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত বলেন, একজন সদস্য বলেছেন অপেক্ষাকৃত নতুন প্রযোজক-পরিচালকদের প্রাইম ডেট পাওয়া উচিত ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে। এটা ভালো প্রস্তাব। তিনি বড় তারকা। আমরা তাঁকেই অনুরোধ করব, তিনি যেন তাঁর ছবি মুক্তির প্রাইম ডেট নতুন কাউকে ছেড়ে দেন।” এ কথা যে দেবকে বলা হয়েছে কমিটির তরফে, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ দেব প্রকাশ্যে বলেছেন, নতুন প্রযোজক-পরিচালকদেরও প্রাইম ডেট দেওয়া প্রয়োজন। প্রাইম ডেট মানে দুর্গাপুজো বা বড়দিনের মতো ছুটির মরসুমে সিনেমা হলে ছবি রিলিজের সুযোগ পাওয়া। ২০২৫-এ স্বাধীনতা দিবস, দুর্গাপুজো এবং বড়দিন, তিনটে প্রাইম ডেটেই দেবের ছবি মুক্তি পেয়েছে। 

POST A COMMENT
Advertisement