Salman Khan পাকিস্তানের রোষে বলিউড তারকা সলমান খান? তাঁর নাম সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় ঢোকাল শেহবাজ শরিফের সরকার? এই সংক্্রান্ত একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে বালোচিস্তান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিনেতা। তার জেরেই পাকিস্তানের এই ঘোষণা বলে দাবি করা হয়েছে বলে দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তান সরকার সালমান খানের নাম তাদের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করেছে। এটি পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন (১৯৯৭)। যদি কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন সন্ত্রাসবাদী বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা সন্দেহভাজন হন তাহলে তাঁর নাম এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অর্থাৎ পাকিস্তান প্রশাসন সলমান খানকে সন্দেহভাজন জঙ্গি বলে চিহ্নিত করল। সেই দেশের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এহেন ব্যক্তিদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। যদিও এই খবরের সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
গত ১৬ অক্টোবর বালুচিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর সলমানের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে (যাচাই সাপেক্ষ)। সেখানেই তাঁকে 'আজাদ বালুচিস্তান ফ্যাসিলিটেটর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রদেশের বিশেষ করে বালুতচিস্তানের বহু মানুষকে এই ধারায় চিহ্নিত করে তাঁদের উপর নদরদারি চালায় পাকিস্তানের সরকার। তবে সলমান ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় তাঁকে কোনও আইনি জাঁতাকলে পড়তে হবে না বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও সলমানের বা ভারত সরকারের তরফে এই নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি।
পাকিস্তান যদি সলমানের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ করে থাকে, তার কারণ কী? নেপথ্যে রয়েছে রিয়াধে ভাইজানের একটি মন্তব্য। সেখানে এক অনুষ্ঠানে সলমন বালোচিস্তানতকে আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, 'এখন যদি আপনি একটি হিন্দি ছবি তৈরি করেন, আর তা সৌদি আরবে মুক্তি পায় তাহলে সুপারহিট হবে। একইভাবে যদি দক্ষিণ ভারতীয় ছবি মুক্তি পায় তাহলেও তা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে। কারণ অন্য অনেক দেশ থেকে মানুষ এখানে আসেন। সিনেমা দেখেন। এই দেশে বালোচিস্তান, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মানুষ আসেন।'
এই মন্তব্য সামনে আসার পরই নানারকম প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। পাকিস্তানের অনেকে অভিযোগ করেন, সলমান এই মন্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে বালোচিস্তানকে আলাদা করে পৃথক দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।