দেবলীনা দত্তবিনোদন জগতের অনেক তারকাই রয়েছেন যাঁরা মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। একেবারে আমিষ খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে নিরামিষ খাবারের দিকে ঝুঁকেছেন টলিপাড়ার অনেক তারকাই। বি-টাউনের অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শুধু আমিষ নয়, প্রাণীজ আমিষ খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন। পনীর বা গরুর দুধও খান না তাঁরা। টলউডের অনেক নায়িকাই আছেন যাঁরা আমিষ ছেড়ে নিরামিষ খাচ্ছেন। দেবলীনা দত্তও অনেকদিন আমিষ খাবার খাওয়া ছেড়েছেন। তিনি নিরামিষ খাবারই খান। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে অভিনেত্রী জানালেন কেন তিনি আমিষ ছাড়লেন?
পশুপ্রেমী দেবলীনা এটা সকলেই জানেন। অবলা প্রাণীদের ওপর যখনই অত্যাচার হয়েছে তখনই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে দেবলীনা জানিয়েছেন যে তিনি আমিষ খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেন? দেবলীনা বলেন, 'আমার পশু ব্যাপারটাই খুব ভাল লাগে। ওদের হাতে নিয়ে কাজ করি তো। একদিন আমার যেটা হল আমার না প্রাণীদের সব রকম চোখই একরকম লাগতে শুরু করল।' তিনি বলেন, 'আমার বাচ্চাদের যে তাকানো, ওদের যে চোখ, একটা ছাগলের তাকানো একই রকম তো, একটা মুরগীরও চোখের ভাষা একই রকম তো। তাদের ওপর কোনও অত্যাচার হলে আমি প্রতিবাদ করি, তাহলে আমি কি করে একটা ছাগলকে বা একটা মুরগীকে কেটে নুন-লঙ্কা দিয়ে মাখিয়ে কী করে খাচ্ছি?' দেবলীনা বলেন, 'আমিষ খাওয়া মানে কিন্তু ওই যে টক্সিন, ভয়, আতঙ্ক, কান্না সবটা খাওয়া।'
প্রসঙ্গত,কয়েক বছর আগেই গরুর মাংস রাঁধা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেবলীনা। এক সংবাদমাধ্যমের চ্যাট শোতে এসে দেবলীনা বলেছিলেন যে নিরামিষভোজী হলেও প্রয়োজনে তিনি নবমীর দিন গরুর মাংস রান্না করে দিতে পারেন। তিনি মনে করেন, খাদ্য, খাদ্যাভাস এবং ধর্ম বিষয়ে তিনি এতটাই ছূৎমার্গহীন। টলিউডের চেনা মুখ দেবলীনা দত্ত। সিরিয়াল থেকে সিরিজ, সিনেমা সবেতে অভিনয় করেছেন তিনি। মিষ্টি মুখের এই নায়িকার অভিনয় দর্শকেরা ভারী পছন্দ করেন। আরজি কর কাণ্ডের সময় দেবলীনার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তাঁর দীপ্ত কন্ঠের প্রতিবাদের ভাষা কোনও হুমকিতেই থামেনি। পরিচালক-অভিনেতা তথাগতর সঙ্গে বহু আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন। যদিও খাতায়-কলমে তাঁদের ডিভোর্স হয়নি। প্রাক্তন জড়িয়েছেন নতুন সম্পর্কেও।
দেবলীনা নিজেকে পশুপ্রেমী নয়, বরং প্রাণীপ্রেমী বলতেই বেশি ভালোবাসেন। দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেও পথে নামতে দেখা গিয়েছিল দেবলীনাকে। নিজের বাড়িতেও আছে পোষ্য। এছাড়াও রাস্তার অবলা প্রাণীদেরও তিনি অত্যন্ত স্নেহ করেন। যার ঝলক মাঝে মধ্য়েই দেখতে পাওয়া যায়। এই ভালোবাসা থেকেই তিনি আমিষ খাওয়া ছেড়েছেন।