দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান। নিজের অভিনয়ের জোরে নায়িকা এপার ওপার বাংলায় যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে। তাঁকে দেখে বয়স বোঝার উপায় নেই। এভাবেই নিজেকে ফিট অ্যান্ড ফাইন করে রেখেছেন নায়িকা। দুই বাংলাতেই চুটিয়ে অভিনয় করছেন জয়া। ছোটপর্দা থেকে অভিনয় জগতে প্রবেশ জয়ার। ঢালিউড থেকে টলিউডে চুটিয়ে কাজ করার পর বলিউডেও নিজের ছাপ রেখেছেন। সেই এত গুণী নায়িকার রয়েছে এক খারাপ অভ্যাস। এক সাক্ষাৎকারে সেই বাজে অভ্যাসের কথা নিজেই জানালেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে জয়া অকপটে বলেন, 'আমার তো খুব খারাপ অভ্যাস। আমার আলমারির একদিকে শুধুই সারি সারি শাড়ি। আমি ফেলতে পারি না কিছু। আসলে তো উচিত। তুমি যদি নতুন কিছু আলমারিতে ঢোকাও তাহলে পুরনোটা দিয়ে দেওয়া উচিত যাদের প্রয়োজন। আমার তো এত মায়া লাগে সবকিছু ফেলতে, শাড়ির ভাঁজ, পুরনো গন্ধ, আমি তো সেই পুরনো স্মৃতিতে চলে যাই।' জয়ার এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে জয়া শাড়ি কতটা ভালোবাসেন। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে যে তাঁর একাধিক শাড়ি পরা ছবি। অধিকাংশই ঢাকাই ও জামদানি শাড়ি।
চলতি বছর ওয়েবসিরিজ 'জিম্মি'তে অভিনয় করেও জয়া দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন। এই মুহূর্তে জয়া কলকাতায় রয়েছেন ডিয়ার মা ছবির প্রচারে। তার সঙ্গে চলছে আবার অর্ধাঙ্গিনী ছবির শ্যুটিংও। মঙ্গলবার ১ জুলাই ছিল জয়ার জন্মদিন। এই প্রথমবার কলকাতায় জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন পদ্মাপারের নায়িকা। এবারের অনুভূতি তাই একেবারে অন্যরকম। জন্মদিনেও কাজ থেকে বিরতি নেননি। অর্ধাঙ্গিনী সেটে কেক কেটে উদযাপন যেমন করা হয় তেমনি দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তরাঁয় সেই প্রাক-জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করেছিল তাঁর ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার টিম। সেখানেও চকোলেট কেক কাটেন নায়িকা। শুধু তাই নয়, জন্মদিন উপলক্ষে এই প্রথমবার পায়েসের স্বাদ পেলেন জয়া আহসান। কারণ বাংলাদেশে জন্মদিনে পায়েস খাওয়ার চল নেই।
দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন জয়া আহসান। বাংলাদেশী অভিনেত্রী হলেও টলিউডেও জয়ার অভিনয় দারুণভাবে প্রশংসিত। তবে শুধু অভিনয় নয়, জয়ার রূপের ছটা এমন যে কেউ ভুলেও তাঁর বয়স বুঝতে পারবেন না। বেশ কয়েক বছর আগেই জয়ার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও অভিনেত্রী তাঁর প্রাক্তন স্বামীর পদবী ব্যবহার করছেন। একের পর এক ছবিতে কাজ করে চলেছেন তিনি। জয়ার কেরিয়ার রীতিমতো মধ্য গগনে।