আদালত অবমাননার মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের কথা ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই ঘোষণা করেছে।
আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময়েই দেশ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনও পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে এক আইনজীবী নিয়োগ করে আদালত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওইদিন কোনও জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি। এ অবস্থায়, ট্রাইব্যুনাল এখন আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে পারে।
গত কয়েক মাস আগে শেখ হাসিনার একটি অডিও ভাইরাল হয়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে। তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ পরে CID ওই কথোপকথনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করে সত্য প্রকাশ্যে আনে। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের ২ সদস্য ছিলেন বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।