কুমিল্লায় এক হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত একজন রাজনীতিবিদের গ্রেফতার এবং ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঢাকার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন। কড়া শাস্তির দাবি জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তর নাম ফজর আলি। সে বিএনপির একজন স্থানীয় নেতা। তাঁকে রবিবার ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে তিনজন ভিডিও রেকর্ড ও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।
ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গত ২৬ জুন রাতে, কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর পাচকিত্তা গ্রামে। নির্যাতিতা তখন তাঁর বাবার বাড়িতে স্থানীয় একটি হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করে। ঘটনার সময় কিছু স্থানীয় ব্যক্তি অভিযুক্তকে ধরে ফেললেও, সে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মুরাদনগর থানা তদন্ত করছে। নির্যাতিতা নিরাপদ রয়েছেন। এবং তাঁর চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশ্নে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং নেতারা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে একাধিক সভা আয়োজন করেছেন।