প্রতিদিন ফ্যাসিবাদের নতুন নতুন মুখোশ পরে চলা ইউনূস সরকার এখন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ভোটের কথা বলছে! শুনলেই হাসি পায়। যে সরকার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক দমনমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে, বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে, মুক্তমতকে দমন করছে, সেই সরকারের মুখে 'সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন'এর বুলি সত্যিই কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট। খুলনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেছেন ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সহকারী শফিকুল আলম। বলেছেন, 'এই নির্বাচন হবে উৎসবের মতো।' কিন্তু প্রশ্ন হল, এই সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায়?
শেখ হাসিনার পতন মানেই কি গণতন্ত্র ফিরে এল?
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পশ্চিমবঙ্গেও সেই খবর আলোড়ন তুলেছিল। কিন্তু তার পর যে সরকার এল, তারা কি আদৌ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনল? তার কোনও উদাহরণ এখনও পর্যন্ত অন্তত মেলেনি। বরং বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা থেকে শুরু করে একের পর এক রাজাকারকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ার ঘটনায় স্পষ্ট, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার, ফ্যাসিবাদের নয়া অধ্যায় শুরু করেছে বাংলাদেশে।
নতুন সরকার প্রথমেই সংবাদমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেয়। সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ, কিছু ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশ করলে গ্রেফতার—এইসবই এখন বাংলাদেশে নতুন ‘নিয়ম’। তার মধ্যেই আবার ঘোষণা, 'শান্তিপূর্ণ ভোট হবে'। ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে যেন ব্যঙ্গ নিজের মুখেই ফিরছে।
ফ্যাসিবাদী কায়দায় চলা সরকার তদন্ত করছে আগের ভোট নিয়ে
এতদিন যারা অন্যের ভোট ছিনতাই নিয়ে কথা বলত, তারাই এখন ২০১৪, ২০১৮ আর ২০২৪ সালের ভোটে কারচুপি নিয়ে তদন্ত করছে। শুনে মনে হয়, চোর নিজেই এখন বিচারক। পাঁচ সদস্যের যে কমিটি বানানো হয়েছে, তাদের রিপোর্ট আসবে সেপ্টেম্বরের শেষে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই তদন্ত কি সত্যিই নিরপেক্ষ হবে? নাকি রাজনৈতিক প্রতিশোধের হাতিয়ার?
গণতন্ত্র কি শুধুই মুখের কথা?
যে দেশে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হয়, বিরোধীদের সভা করতে দেওয়া হয় না, বিরুদ্ধ মত মানেই ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’—সেই দেশে ‘গণতন্ত্র’ শব্দটা একরকম কৌতুক। ইউনূস সরকার ঠিক এই কৌতুকটাই এখন দেশবাসীকে শোনাতে চাইছে। বাংলাদেশের রাজনীতির এই নাটকীয়তা আজ হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে।