Advertisement
বাংলাদেশ

Bangladesh July Movement: গুলি-বোমা-রক্ত-আগুন-মৃত্যু মিছিলের বছর ঘুরল, বাংলাদেশ এখনও অশান্তই, কেন?

ওই দিনই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালান
  • 1/10

বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন আব্দুল রহমান তারিফ। হঠাত্‍ স্তব্ধ। ওপার থেকে আর কোনও সাড়া নেই। তারিফ খানিক পরেই বুঝতে পারলেন, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ঢাকার রাস্তায় তখন গুলি-বোমার শব্দ। বাড়ির দিকে ছুটলেন। পৌঁছে দেখলেন, বোন মেহেরুন্নিসা রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ছে। বাড়িতেই জানলার ধারে দাঁড়িয়ে দাদার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। বুলেট বিঁধল বুকে। সব শেষ। মেহেরুন্নিসার মাত্র ২৩। এই ঘটনাটি ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের। ওই দিনই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালান।

সেই দিন একদলের মধ্যে উত্‍সব হয়েছিল
  • 2/10

বাংলাদেশে জুলাই হিংসাত্মক আন্দোলনে যে দিন হাসিনা দেশ ছাড়লেন, সেই দিন একদলের মধ্যে উত্‍সব হয়েছিল। তার ঠিক দিন তিনেকেই দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে বসেন মহম্মদ ইউনূস। দেশবাসীকে সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন।

বছর ঘুরে গেল
  • 3/10

তারপর একবছর কেটে গেল। বাংলাদেশ এখনও অশান্ত। হিংসা, রক্ত। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, বিশেষ করে হিন্দু নির্যাতন চলছেই। শান্তি তো দূর, জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তাও কেউ জানে না। বাংলাদেশে সরকার-বিরোধী সেই আন্দোলনে কত প্রাণ যেঝরেছে, তার কোনও হিসেব নেই। সরকারি মতে, সংখ্যাটা ১৩৩। যদিও বেসরকারি মতে, অনেক বেশি। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। থানা, সরকারি অফিস আগুন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েছে।

Advertisement
এক ভাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যান
  • 4/10

বাংলাদেশের অনেকের মতোই তারিফ আর তাঁর বোনও সেই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন, দেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনার আশায়। বিশেষ করে, যখন তাঁদের এক ভাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যান, তখন আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি।

শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে
  • 5/10

২০ বছরের তারিফ বলেন, 'আমরা আর চুপচাপ বসে থাকতে পারছিলাম না। শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে, সেটাই চাইছিলাম। শেষমেশ আমরা এমন একটা দেশ চেয়েছিলাম, যেখানে বৈষম্য আর অন্যায় থাকবে না।' কিন্তু আজ তাঁর আশা ভেঙে গিয়েছে। তিনি হতাশ হয়ে বলেন,  'আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন ভীষণ হতাশ।'

ইউনূস সরকারের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি
  • 6/10

ইউনূসের নেতৃত্বে যখন নতুন প্রশাসন গঠিত হয়, তখন তারা ১১টি সংস্কার কমিশন তৈরি করে। এর মধ্যে একটা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যা দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে ভবিষ্যতের সরকার এবং নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে।

 রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের ঝগড়া মিটছে না
  • 7/10

কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের ঝগড়া মিটছে না। ভোট কবে হবে, কীভাবে হবে, সেই বিষয়ে এখনও তারা একমত হতে পারেনি। উল্টে হিংসা, বিরোধীদের উপরে রাজনৈতিক আক্রমণ, আর ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের কারণে মহিলাদের অধিকার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংসা অনেক বেড়েছে।

Advertisement
নতুন সরকারও ইচ্ছে মতো লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে
  • 8/10

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির দাবি, শেখ হাসিনার আমলে যে ভয় আর দমন-পীড়ন ছিল, যেমন জোর করে গুম করা,তা কিছুটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু তারা অভিযোগ করছে, নতুন সরকারও ইচ্ছে মতো লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার সমর্থকদের, যাঁদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। হাসিনার দল আওয়ামী লীগ, যা এখনও নিষিদ্ধ, তাদের দাবি, গত এক বছরে হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের অন্তত দু’ডজনের বেশি কর্মী মারা গিয়েছেন।

 বাংলাদেশে কবে নির্বাচন?
  • 9/10

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিএনপি-র দাবি, দ্রুত জাতীয় নির্বাচন করা হোক। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য, আরেকটু দেরিতে হলে ভাল। সংস্কারের কাজ বাকি। খালেদা জিয়ার দল চায়, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ভোট। মহম্মদ ইউনূসের বক্তব্য, ২০২৬ সালের এপ্রিলে হবে জাতীয় নির্বাচন।

জামাত-ই-ইসলামেরও পোয়া বারো হয়েছে ইউনূসের আমলে
  • 10/10

এমনকী হাসিনার আমলে চাপে থাকা কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামেরও পোয়া বারো হয়েছে ইউনূসের আমলে। আর এদিকে যাঁরা সেই ছাত্র-আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁরা এখন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গড়েছেন। ওই ছাত্রদলের দাবি—প্রয়োজনে পুরো সংবিধানই নতুন করে লিখতে হবে। এবং তারা জানিয়েছে, বড়সড় সংস্কার না হলে কোনও নির্বাচন তারা হতে দেবে না।

Advertisement